কক্সবাজারে নারী পর্যটকদের জন্য ‘বিশেষ এলাকা’ শিঘ্রই
কক্সবাজারে জেলা প্রশাসন নারীদের জন্য আলাদা একটি সংরক্ষিত এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে বিবিসি বাংলা এই খবর প্রকাশ করেছে।
বিবিসির খবর অনুসারে, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেছেন, কক্সবাজারে আসা শুধু নারী পর্যটকদের জন্য আলাদাভাবে কার্যক্রম চলছে। যারা নারী পর্যটক বা পর্দানশীন নারী রয়েছেন, তাদের জন্য ১০০ বা ১৫০ ফিটের একটা সংরক্ষিত এলাকা করছি। যারা ইচ্ছুক হবেন বা স্বেচ্ছায় চাইবেন, তারা সেখানে গিয়ে পানিতে নামতে পারবেন। খুব তাড়াতাড়ি সেটি চালু করা হবে।
সৈকতে নারীদের জন্য আলাদা ড্রেসিং রুম ও লকার রুম করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারে একজন নারীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সেখানকার নিরাপত্তায় বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজারের হোটেল মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে আমাদের যদি এক-দুই মাস সময়ও লাগে, তারপরেও এসব বাস্তবায়ন করতে পারলে পর্যটনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সম্প্রতি পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া এক নারীকে অপহরণের পর একটি হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঘটনার শিকার নারীকে ওই গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাব।
ঘটনার পর কক্সবাজারে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে কক্সবাজারে এক অস্ট্রেলিয়ান তরুণী ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
তবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলছেন, কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এখানে এতোটা খারাপ অবস্থা কিন্তু নয়।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ-সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করছে। একটা ঘটনা (ধর্ষণের অভিযোগ) নজরে এসেছে, তাই তারা পুনরায় হোটেল মালিকদের সঙ্গে বসে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-